নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ জেলায় মাঠ প্রশাসনের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা ৫ম দিনের মতো কর্মবিরতি করেছেন। আন্দোলনরত কর্মচারী নেতৃবৃন্দ বলেন, মাঠ প্রশাসনের কাজের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তারা জেলা প্রশাসক, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটদের সাথে কাজ করেন। অথচ তাদের প্রকৃত কোন মূল্যায়ন হচ্ছে না। তারা বৃটিশ আমলে সৃষ্ট পদ পদবী বহন করছেন। অনেকেই অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করে এই পদ থেকে বুকে যন্ত্রনা নিয়ে অবসরে যাচ্ছেন। ২২ বছর যাবৎ এ ব্যাপারে নীতি নির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। পদনাম পরিবর্তনসহ বেতন গ্রেড উন্নীত করার বিষয়ে সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিলেও আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে আলোর মুখ দেখেনি। বিভিন্ন বিভাগ দপ্তরের সমগ্রেড বা নিন্ম গ্রেডের কর্মচারীদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করায় মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বেড়েই চলছে।
সরকারের নীতিনির্ধরণী মহল কর্মচারীদের দাবী বাস্তবায়নে বার বার আশ্বাস দিলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দীর্ঘ ২২ বছর পর কালেক্টরেট সহকারী সমিতি এবং বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটি কর্তৃক যৌথভাবে কর্মবিরতির কর্মসূচী দেওয়া হয়েছে। ন্যায্য ও যুক্তিক দাবী দ্রত বাস্তবায়ন করে সৃষ্ট জটিলতা দূরীকরনের অনুরোধ জানান তারা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে বাকসাস কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলিম উদ্দিন বলেন, পদনাম পরিবর্তনসহ বেতন গ্রেড উন্নীত করার বিষয়ে সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিলেও আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে আলোর মুখ দেখেনি। কেন্দ্রিয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক কর্মবিরতি পালন করছি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কর্মচারী ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, বাকসাস কিশোরগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমচারী ক্লাবের আহবায়ক আবু ইউসূফ মো: মহসিন, বাকসাস কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার কর্যকরী সদস্য ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।